নভেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতি কমবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নভেম্বরের আগে দেশে মূল্যস্ফীতি কমবে না বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে। আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি যদি না বাড়ে এবং আমাদের আমন ধান উঠলে ও শাকসবজির উৎপাদন ভালো হলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

নিজ কার্যালয়ে গতকাল জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আউশ মৌসুমে প্রত্যাশার তুলনায় তিন লাখ টন কম চাল উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া বোরো মৌসুমেও বন্যার কারণে ফলন কম হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিরূপ পরিস্থিতি। ভারত চালের শুল্ক বাড়িয়েছে। সবমিলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে চালের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানির চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের নীতি সুদহার বাড়াতে হবে। এছাড়া রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে আসা বন্ধ করতে হবে।  আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসলে রিজার্ভ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। যেমন: আমরা করোনা মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আগে থেকে আমাদের জানা ছিল না। তারপরও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এ সংকট মোকাবিলা করতে পারব। জাতিসংঘ প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে। এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করেছি। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিবিআইএন বাস্তবায়ন করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, প্রকল্প প্রণয়নে বেশি সময় লাগার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি জানতে চান। এর জবাবে বলা হয়েছে যেকোনো প্রকল্প নিতে হলে যাচাই বাছাই করেই নিতে হয়। বৈদেশিক অর্থায়ন থাকলে সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়েও কিছু সময় লাগে। এরপর পরিকল্পনা কমিশনে এলে আরও কিছু যাচাই বাছাই করা হয়। ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ করতে বছর খানেক সময়তো লাগবেই।

সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের আবাসিক সম্বয়কারী বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকল্প দ্রুত প্রক্রিয়াকরণে অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে। বদ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এলসিজি গ্রুপকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০