নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নয়াপল্টনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সড়কের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল। মিছিল যাওয়ার সময় পাশে দাঁড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তখন আওয়ামী লীগের মিছিলকারী এবং বিএনপির বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ থেকেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তা চলে আধা ঘণ্টাব্যাপী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল, যুবদল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বড় রকমের বিধি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ঢাকা সিটিতে একটি তামাশার নির্বাচন হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। বিকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তারা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছেন ও নির্বাচন কমিশনবিরোধী সেøাগান দিচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রদলের সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান বাপ্পী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকের ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। ইতোমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে আমাদের মহাসচিব এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। আমরাও এ নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে আমাদের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছি। দলের সিনিয়র নেতারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।’