নরসিংদীতে কভিড পরীক্ষার ফল পেতে দীর্ঘসূত্রতা

প্রতিনিধি, নরসিংদী: নরসিংদীতে কভিড-১৯ শনাক্ত পরীক্ষার ফল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে। নমুনা দেয়ার পর ফল পেতে পাঁচ থেকে সাত দিন লাগছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ কারণে দিন দিন ভোগান্তি বাড়লেও নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী থেকে প্রতিদিন গড়ে অন্তত সাড়ে তিনশ’ নমুনা সংগ্রহ করে আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএস) পাঠানো হয়। ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানে আরও কয়েকটি জেলাসহ প্রবাসীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার ৭০০ নমুনা সেখানে জমা হয়। অথচ প্রতিষ্ঠানটির ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। বাকি নমুনা জমতে থাকে। তাই জট লেগে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বলে ফল পেতে পাঁচ থেকে সাত দিন লেগে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মচারী জানান, গত ২৭ জুলাই যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে শুধু তাদের ফল পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার এই ফল পেতে সাত দিন লেগে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এমনটা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়েছে পরীক্ষায়। তাই সময় বেশি লাগছে।

জেলায় দিন দিন জ্বর-ঠাণ্ডাজনিত রোগী বাড়ছে। ফলে কভিড সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করতে ভিড় বাড়ছে নমুনা সংগ্রহের কেন্দ্রগুলোয়। জেলার সব নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষা করাতে আসেন। তাদের মধ্যে আরটিপিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা মিলিয়ে গড়ে সাড়ে ৪০০ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলার ছয় উপজেলা মিলিয়ে মোট নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র আছে ৯টি। এর মধ্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছ আট জায়গায়।

মাইনুল রহমান খান নামে একজন শিক্ষক জানান, গত ১০ দিন ধরে জ্বর-ঠাণ্ডাসহ কভিডের উপসর্গে ভুগছেন তিনি। কভিড সন্দেহে ২৬ জুলাই নরসিংদীর কভিড ডেডিকেটেড ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ৬ দিন অপেক্ষার পর তিনি জানতে পেরেছেন তার নমুনা পরীক্ষার ফল।

মাইনুল রহমান খানের মতো প্রতিদিন কভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর ফলের জন্য দীর্ঘসূত্রতায় পড়তে হচ্ছে মানুষকে।

সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন আগেও জেলায় প্রতিদিন ১০০ থেকে দেড়শ’ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হতো। এখন নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় যাদের নেগেটিভ আসে, তাদের আবার আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হয়। এ জন্যই ঝামেলা বেশি হচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০