প্রতিনিধি, নরসিংদী: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নিতে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৬০ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। শনিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ও আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, সকাল থেকে নরসিংদী রেলস্টেশনে জেলা পুলিশসহ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির বিপুলসংখ্যক পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নেয়। সকাল পৌনে ৮টায় তিতাস কমিউটার নরসিংদী রেলস্টেশনে এসে থামলে পুলিশ ট্রেনে তল্লাশি চালায়। যাদের সন্দেহ হয় ট্রেন থেকে থামিয়ে পুলিশ হেফাজতে রাখে। এসময় নরসিংদী স্টেশন থেকে রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও ওলামা দলের প্রায় ৩০-৩৫জন ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পাথরের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ রায়পুরা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকন, নরসিংদী জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, জেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, রায়পুরা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্তত ৬০ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিএনপির শতাধিক কর্মী ট্রেনে উঠতে না পেরে পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোড়ে। এতে তিন পুলিশ সদস্য পাথরের আঘাতে আহত হন। পরে ৩৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩০ জনকে আটক করে।