আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিট পাইপলাইনে বোমা বিস্ফোরণের তিন মাস আগে এই আক্রমণের বিষয়ে ইউক্রেনীয় পরিকল্পনার গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফাঁস হওয়া তথ্যকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, গত বছর জুনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ জানতে পারে, ইউক্রেনের স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সের ছয় সদস্যের একটি টিম রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যকার গ্যাস পাইপলাইনটি উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত এক ঘনিষ্ঠ মিত্রের কাছ থেকে বাইডেন প্রশাসন এ তথ্য জানতে পারে। ছয় সদস্যের ডুবুরি দলটি সরাসরি ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের নির্দেশে পরিচালিত হয়।
একটি ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সংগৃহীত এ তথ্য ২০২২ সালের জুনে সিআইএ’র কাছে পাঠানো হয়। সিআইএ পরে তা জার্মানি ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের কাছে পাঠায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বাল্টিক সাগরে গ্যাস পাইপলাইনে হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা ইউরোপের জ্বালানি অবকাঠামোয় নাশকতার বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এর আগে পাইপলাইনে হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। এই প্রতিবেদনের বিষয়ে দেশটির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২ পাইপলাইনে তিনটি বিস্ফোরণে বড় ধরনের লিক দেখা দেয়। এর ফলে চারটি গ্যাস লিংকের মাত্র একটি সক্রিয় থাকে। বাইডেন প্রশাসন শুরুতে বিস্ফোরণের জন্য রাশিয়াকে
দায়ী করেছিল। অবশ্য এখন মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করছেন, এতে মস্কোর জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।
২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাট্টা হতে সময় নেয়। নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনে হামলার ঘটনার পর জ্বালানি সরবরাহকারী বিকল্প দেশগুলোর প্রতি ঝুঁকতে থাকে ইউরোপের দেশগুলো।