নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফারেটিং।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ১৮ টাকা ৭৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ২৭ পয়সা, আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৩৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৩ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৯ টাকা ৩০ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৩৯ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৮ টাকা ৮০ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালের কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৬৫ পয়সা। আর তার আগের বছর ছিল এক টাকা ৬৩ পয়সা।
ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৪টি শেয়ার মোট ৬৯২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ২৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ১৬ দশমিক ২৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৬ দশমিক ৫৪।
কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট চার কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬১১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।