শেয়ার বিজ ডেস্ক: নাইজারে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই সাধারণ নাগরিক। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি বাসে সন্ত্রাসীরা হামলা করলে তারা প্রাণ হারান। খবর: আল জাজিরা।
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সরকার জানায়, সর্বশেষ ঘটনার মতো গত বছরও নাইজারে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব হামলায় শত প্রাণহানি হয়েছে।
হামলার ঘটনাটি গত রোববারের। তবে এ ঘটনা জানানো হয় গত মঙ্গলবার। নাইজারের তিলাবেরি অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশ মালির সীমান্তের কাছে একটি বাসে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাসৌম ইনদাতৌ বলেন, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে সশস্ত্র ডাকাতরা এই হামলা করে। তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানান তিনি।
নিহত ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জন স্থানীয় ফোনে গান্দা গ্রামের বাসিন্দা। বাকি পাঁচজন তিজে গোরোউ গ্রামের বাসিন্দা।
এই তিলাবেরি অঞ্চলে এর আগের হামলাগুলোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিলেন। গত বছর জানুয়ারিতে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সেখানকার অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান। এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই তাদের অপতৎপরতা চলছে। তাদের কারণে একই ধরনের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী দুই দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোয়। এ ধরনের ঘটনা পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য শঙ্কার।
পশ্চিম আফ্রিকার ৩ দেশ নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোর বেশ কয়েকটি অঞ্চল উষর-অনুর্বর ও দারিদ্র্যপীড়িত। এসব এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গিগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা বাড়ছে। তিন দেশের এই সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদাপন্থি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।
নাইজারে আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের তৎপরতাও আছে। গত কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে তাদের। এ সংঘাতে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে দরিদ্র দেশ হিসেবে নাইজারের অবস্থান নিচের দিকে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো এ দেশটিও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হিমশিম পোহাচ্ছে।