শেয়ার বিজ ডেস্ক: নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসে নির্মাণাধীন একটি বহুতল আবাসিক ভবন ধসে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। খবর: রয়টার্স, আল জাজিরা।
গতকাল মঙ্গলবার লাগোস রাজ্যের জরুরি পরিষেবা প্রধান ইব্রাহিম ফারিনলোয়ী জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে নির্মাণাধীন ২২ তলা ভবন ধসে পরে। গতকাল সকাল থেকেই দমকল বাহিনীর সদস্যরা আটকেপড়াদের উদ্ধার শুরু করেন। ছয়জনের মৃতদেহ এবং কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন নির্মাণ শ্রমিকরা আটকাপড়ে আছেন তা বলা মশকিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কংক্রিটের বিরাট একটি ধ্বংসস্তূপের নিচে নির্মাণ শ্রমিকরা আটকাপড়ে আছেন।
রাজ্যটির কর্মকর্তা ওলুফেমি ওকি-ওসানিএনটোলু জানিয়েছেন, সোমবার ঘটনাটি ঘটার পর তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ছয়জনে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি বিভাগের সবগুলো বাহিনী এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে।’ তিনি জানান, চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে সামান্য আহত তিনজনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, লাগোসের অভিজাত আবাসিক এলাকা নির্মাণ শ্রমিকার জানিয়েছেন, ভবনটি ধসে পড়ার সময় প্রায় ১০০ জন লোক সেখানে কাজ করছিল।
লাগোস রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনটি ২২ তলা ছিল এবং নিকটবর্তী ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি নাÑকর্তৃপক্ষগুলো তা পরীক্ষা করে দেখছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি উদ্ধারকাজ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্মাণাধীন তিনটি টাওয়ারের একটি ছিল ধসে পড়া ভবনটি। একটি বেসরকারি ডেভেলপার কোম্পানি টাওয়ারগুলো নির্মাণ করছিল। তাদের ব্রুশিয়ারে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ‘হোটেলের স্বাচ্ছন্দ্যসহ চাপমুক্ত জীবনধারার’ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। ধসেপড়া ভবনটির সবচেয়ে সস্তা ইউনিটটির বিক্রয়মূল্য ১২ লাখ ডলার ছিল।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। নিয়মকানুন না মানা ও প্রায়ই নি¤œমানের উপকরণ ব্যবহার করাই এর কারণ।
