Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 4:17 pm

নাঈমের শতরানে আবাহনীকে উড়িয়ে দিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক: স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তবে আক্ষেপ-এ শব্দটাই গত কিছুদিন ধরে জড়িয়ে ছিল তার নামের সঙ্গে। থাকবেই না কেন? একটুর জন্য যে তিনটি শতরান হাতছাড়া। নার্ভাস নাইনটিজে এসে পথ হারান। ৯১, ৯৫ তারপর ৯২ রান। এভাবেই হতাশা সঙ্গী হয়েছিল নাঈম ইসলামের। তবে কলম্বাসের আমেরিকা জয়ের অধ্যবসায়ের মতো এবার চতুর্থ দফায় এসে সফল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এই তারকা ক্রিকেটার। ফেবারিট আবাহনীর বিপক্ষে শতরানে উড়লেন তিনি।

আর নাঈমের ১০৯ বলে করা ১২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএলে) মহাশক্তিধর আবাহনী লিমিটেডকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে লিজেন্ডসরা। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ধানমন্ডির ক্লাবটিকে ১৪ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস ভাগ্য ছিল অবশ্য আবাহনীর। যদিও টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ লড়েছে রূপগঞ্জ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দল তুলে ২৯৭ রান। আগের তিন ইনিংসে নার্ভাস নাইটিজে ফেরা নাঈম ইসলাম এবার করেন শতরান। জবাব দিতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে আবাহনী করে ২৮৩ রান। মাশরাফি নেন ৩ উইকেট।

চলতি লিগে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচেই ফিফটি করেন নাঈম ইসলাম। বৃহস্পতিবার চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। বিকেএসপিতে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল স্কোরের আনন্দে ভাসেন নাঈম।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রতিপক্ষের আরাফাত সানির করা ইনিংসের ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে লং অফে বল পাঠিয়ে নাঈম পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিকেল ফিগারে। ৯৯ বলে পাওয়া সেঞ্চুরির ইনিংসে চার ছিল ১০টি, আর ছক্কা ৩টি। এটি ক্যারিয়ারে তার ১১ নম্বর সেঞ্চুরি।

নাঈম এদিন ৪ চার ও ১ ছয়ে ফিফটি করেন ৭১ বল খেলে। পরের পঞ্চাশ রান করেন ৬ চার ও ২ ছয়ে মাত্র ২৮ বলে। ৪৫তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হওয়ার আগে নাঈম নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ১২৪ রান। আর ১০৯ বলের সেই ইনিংসে ছিল ১৪টি চার আর ৪টি ছয়। এ ছাড়া রূপগঞ্জের হয়ে দলের ভারতীয় ক্রিকেটার চিরাগ জানি করেন ৭৩ বলে ৪৯ রান। রকিবুল হাসান ২২, সাব্বির রহমান ২১ বলে ৩০, তানভীর হায়দার ১২ বলে ২৩ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা করেন ১৭ রান। আবাহনীর মোসাদ্দেক হোসেন নেন দুটি উইকেট।

২৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আবাহনীকে সব সময়ই চোখে চোখে রেখেছে রূপগঞ্জ। বোলাররা রান রেটের লাগামটাও ধরে রেখেছেন। এর মধ্যে অবশ্য ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন তৌহিদ হূদয়। কিন্তু ৭৪ রান করা এই তরুণকে ফেরান মাশরাফি। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও লড়ছিলেন। কিন্তু তাকেও তুলে নেন নড়াইল এক্সপ্রেস। মোসাদ্দেক ৬৬ রানে বিদায় নিতেই নিশ্চিত হয় লিজেন্ডসদের জয়। শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন অবশ্য ২৯ বলে ৪৩ রানের ঝড় তুলে কমান হারের ব্যবধান।

দলকে জয় এনে দিয়ে মাশরাফি ৬৩ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ, শফিউল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, সনজিত সাহা ও চিরাগ জানি। গোটা দল এভাবে জেগে উঠেছে বলেই প্রিমিয়ার লিগে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।