Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:02 am

নাজমুল হাসান পাপন ও বিপ্লব বড়ুয়ার ব্যাংক হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য বিদায়ী সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী রোকসানা হাসান এবং তাদের সন্তান ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও তার ভাই বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ চারজনের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবলিত চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিসিবির বিদায়ী সভাপতি নাজমুল হাসান, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান এবং তাদের সন্তানদের নামে কোনও লকার-সুবিধা থাকলে সেগুলোও স্থগিত থাকবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিরা ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সন্তান নাজমুল হাসান ২০১২ সালে সরকার মনোনীত সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে হন নির্বাচিত সভাপতি। সেই থেকে নাজমুলই তিন মেয়াদে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বপালন করে আসছেন। আগামী বছরের অক্টোবরে শেষ হওয়ার কথা ছিল নাজমুল হাসানের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বুধবার বিসিবির সভাপতির পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও তার ভাই বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ চারজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। এই তালিকায় থাকা অন্য দুজন হলেন বিদ্যুৎ বড়ুয়ার স্ত্রী অগ্নি বড়ুয়া ও এইচ এম জামাল উদ্দিন। আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

বিপ্লব বড়ুয়াসহ চারজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে তার মা-বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি তিনজনের ক্ষেত্রে মা-বাবা ও স্বামীর নামের পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জš§ তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে হবে।
বিএফআইইউ বলেছে, আগামী ৩০ দিন এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না।