তাপস কুমার, নাটোর: নাটোর সদরসহ সাত উপজেলায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলে তিন লাখ পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সূত্র জানায়, জেলায় ছোটবড় মিলে ১২ হাজার ১৫০টি পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারে বিক্রির উপযোগী মজুদ পশুর সংখ্যাÑষাঁড় ৫১ হাজার ৫৩৭টি, বলদ ১০ হাজার ৮২৪টি, গাভী (বকনা) ১৫ হাজার ৭৭৩টি, ছাগল ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪১৩টি, ভেড়া ২৯ হাজার ৪৮৯টি ও মহিষ রয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪৭৫টি।
এবার জেলার সাত উপজেলা ও আট পৌরসভা মিলে প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজার কোরবানির পশু জবাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খামারিরা প্রস্তুত করেছেন তিন লাখ পাঁচ হাজার ৫১২ পশু। গত বছর দুই লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭ পশু কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এক লাখ ৩২ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার পশু বিক্রির জন্য জেলার ১৪টি স্থানে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশু জবাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে জেলার সাত উপজেলা ও আট পৌরসভার পাঁচ শতাধিক স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, পশুর হাটগুলোতে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা কিছু কিছু খামার থেকে কোরবানির পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, কোরবানির পশু বিক্রির জন্য জেলায় ১৪টি পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে ভিটেনারি সার্জনের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচতেনতার জন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এবার জেলায় পশু মোটাতাজা করার জন্য স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয়নি।
নাটোরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত তিন লাখ পশু
