নাটোরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আউশ আবাদ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি মৌসুমে নাটোরে সাত হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি বিভাগ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এক হাজার ৭৬২ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে অর্থাৎ আট হাজার ৮১২ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। খবর বাসস।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া, বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার কৃষকরা মূলত আউশ আবাদ করেন। এর মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় দুই হাজার ৭৯২ হেক্টর, গুরুদাসপুরে দুই হাজার ৫১৫ হেক্টর এবং সিংড়ায় দুই হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এছাড়া লালপুর উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর, সদরে ২৭৫ হেক্টর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে।
জেলায় স্থানীয় জাতের পাথরকুচি ও শনি ধান খুব সীমিত আকারে মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। অবশিষ্ট জমির পুরোটাই উচ্চ ফলনশীল জাতের। এর মধ্যে ব্রি ধান-৪৮ সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া রয়েছে ব্রি ধান-৫৫ ও বিআর-২৬।
কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে জেলার এক হাজার কৃষককে আউশ প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পাঁচ টন বীজ, ২০ টন ইউরিয়া সার, ১০ টন করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং পাঁচ লাখ টাকার সেচ সহায়তা প্রদান করেছে। প্রণোদনার পাশাপাশি ‘চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় সারা জেলাতে আউশের ১৫০টি প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানান, এবার আগাম বর্ষার কারণে মুগ ডালের দ্বিতীয় পর্যায়ের জমি এবং আগাম পাটের পরিত্যক্ত জমিতে কৃষকরা আউশ চাষ করেছেন। আউশের আবাদি জমি এ কারণে অনেকটা বেড়েছে। ফলন বৃদ্ধির জন্যে কৃষি বিভাগের সবরকমের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, বাজারে চালের ন্যায্য মূল্য, আগাম বর্ষায় অনুকূল পরিবেশ ও আবহাওয়া, সর্বোপরি সরকারের প্রণোদনা ও প্রদর্শনী খামার স্থাপন কর্মসূচির কারণে জেলায় আউশের আবাদি জমির পরিধি বেড়েছে।
অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের নিরলস পরিশ্রম, কৃষি বিভাগের সহযোগিতা, পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফলনও হবে আশানুরূপ।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০