শেয়ার বিজ ডেস্ক: টাইফুন নানমাডলের আঘাতে জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর কিউশুসহ উপকূলীয় বেশ কয়েকটি অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় গত রোববার সন্ধ্যায় প্রায় ১৫০ মাইল গতিবেগে জাপানের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে এই টাইফুন। এতে অন্তত দুইজন মারা গেছেন। খবর: জাপান টাইমস।
টাইফুনের প্রভাব পড়েছে মিয়াজাকি, শুকোকুসহ আরও চারটি অঞ্চলে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭ লাখ ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুন নানমাডলে গতকাল সোমবার সকালে ফুকুওকা শহরের কাছে গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ মিটার। প্রতি সেকেন্ডে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৭৮ মাইল বেগে বাতাস বইছিল। নানমাডলের গতিপথ ঘুরে জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশু অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। ফলে টাইফুনের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার হোনশুতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা। এতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
টাইফুনের কারণে এএনএ হোল্ডিংস ইনকরপোরেশন ও জাপান এয়ারলাইনস করপোরেশন তাদের ৮০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে। কিউশু ইলেকট্রিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একটি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, কিউশুতে গতকাল সকালের দিকে প্রায় তিন লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
জেএমএ সতর্কতা জারি করে বলেছে, ঝোড়ো বাতাস ও মৌসুমি বৃষ্টির কারণে কাগোশিমা অঞ্চল এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে এর আগে কখনও পড়েনি। জেএমএর পূর্বাভাস-বিষয়ক বিভাগের প্রধান রিউটো কুরোরা গত শনিবার বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি খুবই বিপজ্জনক। এটি প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন।
জাপানে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় আঘাত হানে। গত বছর টাইফুন জেবি হানায় জাপানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়।