নানা আয়োজনে ২০২২ সালকে স্বাগত জানাল বিশ্ব

শেয়ার বিজ ডেস্ক: শুরু হলো নতুন বছর ২০২২। মহামারি থেকে মুক্তির আশা নিয়ে বিশ্ববাসী শুরু করলেন নতুন বছর। হয়তো তাই বিশ্ববাসী বিগত বছরের দুর্বিষহ সময় ভুলে থাকতে নানা আয়োজনে বরণ করে নিলেন নতুন বছরকে। কভিড-১৯-এর নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্যাপিত হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। আশঙ্কা থাকলেও খ্রিষ্টীয় নতুন বছর বরণ উৎসবে রঙের কমতি ছিল না। খবর: রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিজিটিএন।

আনন্দ উৎসবের প্রধান উপলক্ষের সূচনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ঘিরে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় এ দেশে। তবে সেখানে গত বছর এতে কেউ মারা যাননি। এ খবরেই যেন আনন্দে বর্ষ উদ্যাপন শুরু হয় দেশে দেশে।

ভৌগোলিক কারণে সময়ের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাই প্রতি বছরের মতো নতুন বছর বরণের উৎসবের শুরুটা হয় অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২২ সাল বরণেও সিডনি অপেরা হাউস আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে ওঠে। আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে এর প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ড।

৩১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করা হয়। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদ্যাপন করার কথা থাকলেও টাইমস স্কয়ারে উপস্থিত হন ১৫ হাজারের মতো মানুষ।

নববর্ষে আতশবাজির ঝলকানিতে ছেয়ে যায় লন্ডনের আকাশ। তবে যুক্তরাজ্যে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়। এ কারণে বাতিল করা হয় বড় আয়োজন। তবে ছোট্ট পরিসরে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো।

রাশিয়ার রাজধানীর মস্কোও আলোর ঝলকানিতে ২০২২ সাল শুরুর ঘোষণা দেয়।

ফ্রান্সে ওমিক্রনের প্রভাবে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশটির রাজধানীতে আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

জার্মানিতে নববর্ষ উদ্যাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু কয়েকটি স্থানে মানুষ জড়ো হলে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন স্থানে তৎক্ষণাৎ কনসার্টের আয়োজন করা হয়।

ওমিক্রনের কারণে নেদারল্যান্ডসে একসঙ্গে চারজন জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু তা অমান্য করে বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। অবশ্য রাজধানী আমস্টারডামে এমন জমায়েত ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

ওমিক্রন বিস্তারের ফলে ইউরোপের স্পেন, ইটালি ও গ্রিসে উৎসবে ভাটা পড়লেও রঙিন হয়ে ওঠে এসব দেশের অনেক শহর। স্পেনের মাদ্রিদে বর্ষবরণের উৎসবে আলোর ঝলকানি বরাবরের মতো ছিল।

উৎসবে শামিল হতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশও। কভিড সংক্রমণের কারণে বর্ষবরণের উৎসবে বিধি-নিষেধের বেড়ি ছিল ভারতেও। তবে সীমিত পরিসরে নানা আয়োজনে নতুন বছরে স্বাগত জানায় এশিয়ার সব দেশ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ ভবনে নতুন বছর শুরুর ক্ষণে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাতেই ছিল রোশনাই। তাইপের আইকনিক ১০১ তলাটিও আলোয় সাজানো হয়। এর মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন তাইওয়ানের রাজধানীবাসীরা।

পিছিয়ে নেই আফ্রিকার দেশগুলোও। দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে আলোর ঝলকানি মাতিয়ে রাখে নাগরিকদের। লেজার শো কিংবা আতশবাজির উৎসব না থাকলেও আনন্দে মেতে ওঠে মহাদেশের নাগরিকরা।

আলোক ঝলকানি কিংবা আতশবাজির উৎসব এবং মানুষে মানুষে মেলামেশা কম হলেও কভিড-১৯ থেকে মুক্তির আশায় বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০