নিজস্ব প্রতিবেদক : লোডশেডিংসহ নানা পদক্ষেপে সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ বুধবার (২৪ আগস্ট) সময় কমিয়ে নতুন অফিসের প্রথম দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে দেখেছি সকাল ১০টা থেকে বিদ্যুতের বেশি চাহিদা থাকে। এখন দেখলাম সকাল ৯টা থেকে বাড়া শুরু হয়েছে। এর মানে সিটির ভেতরে ডেসকো এবং ডিপিডিসির পিক আওয়ার থাকে দুপুরে। সেটি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাচ্ছি সন্ধ্যা থেকে পিক আওয়ারটা যদি দিনের বেলায় চলে আসে, তাহলে আমরা সন্ধ্যা এবং দিনের বেলা ব্যালেন্স করতে পারব।
তিনি বলেন, ‘আর একটি জিনিস আমরা আজ থেকে নিশ্চিত করতে চাই, মধ্যরাত থেকে সেচপাম্পের জন্য আগামী ১৫ দিন যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এটি আমার মনে হয় সম্ভব করে ফেলব। এটা আমি বলতে পারি। আগামী এক সপ্তাহ আমরা দেখি। যদি এটা কার্যকর হয়, তাহলে অন্তত বিদ্যুতের ব্যালেন্সটা ঠিক করতে পারব।’
এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিং আমরা দিতে বাধ্য হয়েছি। যেহেতু আমাদের জ্বালানি ও গ্যাস শর্টেজ ছিল। ওই জায়গা থেকে আমরা লোডশেডিং ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি। ব্যালেন্স করে আমরা সাশ্রয় করতে পারছি।’
এদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আজ বুধবার থেকে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস করছেন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলছে।
