নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সমৃদ্ধ ও নান্দনিক চট্টগ্রাম শহর গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ মহানগরীর সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চাইলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। গতকাল সোমবার নগরীর চট্টেশ্বরী রোড ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি সবার সহযোগিতা চান।
মেয়র নাছির বলেন, ‘ক্ষণিকের ভোগান্তি দীর্ঘ মেয়াদে নগরজীবনে স্বস্তি ও সুফল বয়ে আনে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমই পারে লেখনীর মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করতে। এ নগরে অনেক সেবাসংস্থা কাজ করে। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয় বলে নগরের যে কোনো উন্নয়ন কাজের সাময়িক ভোগান্তির দায়ভার করপোরেশনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার একটি প্রবণতা লক্ষ করা যায়।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, ওয়াসার সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প, কেজিডিসিএল ও টিঅ্যান্ডটি’র অপটিকেল ফাইবার লাইন সংযোগ প্রকল্পসহ এক লাখ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে তা অনেকটাই দৃশ্যমান হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রায় এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে। সরকার ২৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নগরে সুয়্যারেজ সিস্টেম বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসার মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আর এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিটি মেয়রকে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সিটি মেয়রের কাছে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা বেশি। এই প্রত্যাশা পূরণে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে মেয়রকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে নগরীর পানির সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। নগরবাসীকে সুপেয় পানির জন্য অন্য কোনো উৎসের সন্ধান করতে হবে না।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, বর্তমানে এ নগরে দ্বৈত প্রশাসন চলছে, যে কারণে যেকোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভোগান্তি নিয়ে সিটি করপোরেশনের সমালোচনা হয় বেশি। অথচ এর দায়ভার করপোরেশনের ওপর বর্তায় না।