শেয়ার বিজ ডেস্ক: নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা নাফটা সংস্কার নিয়ে সম্প্রতি বিরোধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। তবে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চুক্তিটি বাঁচাতে দুই দেশের আলোচনায় ইতিবাচক বার্তা এসেছে। খুব শিগগিরই ভালো কিছু আশা করা যায়। তবে এখন পর্যন্ত দেশ দুটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। খবর: রয়টার্স।
ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই নাফটা চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তার অভিযোগ, চুক্তিটির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনগত চাকরি কমে গেছে। বিষয়টিতে বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে তিনি তা বাতিল করে দেবেন বলেও ক্ষমতায় আসার পর থেকে হুমকি দিয়ে আসছেন। গত মাসে তিনি মেক্সিকোর সঙ্গে নাফটা চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তিনি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, দরকার পড়লে তারা চুক্তিটি থেকে কানাডাকে বাদ দেবে।
দীর্ঘ আলোচনার পর নাফটা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ২৪ বছর আগে করা এ চুক্তি সংস্কারের জন্য মেক্সিকোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের পর ঐকমত্যে পৌঁছাল দেশ দুটি। চুক্তির তৃতীয় দেশ কানাডা এখন পর্যন্ত সংস্কারে রাজি হয়নি। তবে সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে দুই দেশ। আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, দুই পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কানাডার সূত্র বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় কানাডা আশা দেখছে।
নাফটার আওতায় বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বাণিজ্য হয়। সংস্কারের পর অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এতে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, ডিজিটাল ট্রেড ও বিনিয়োগ নীতিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন খসড়া চুক্তির বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, করমুক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য দুই দেশকে অবশ্যই ৭৫ শতাংশ পণ্য নিজ দেশে উৎপাদন করতে হবে। বিদ্যমান চুক্তিতে থাকা হারের চেয়ে এটা বেশি। এছাড়া ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ মোটরযান এমন শ্রমিকদের মাধ্যমে করতে হবে, যাদের ন্যূনতম বেতন ঘণ্টায় ১৬ ডলার। সস্তা শ্রমের আশায় কোম্পানিগুলোর মেক্সিকোতে কারখানা স্থাপনের প্রবণতা বন্ধের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো তাতে রাজি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ চুক্তি আগামী ১৬ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে। প্রতি ছয় বছর পরপর চুক্তিটি পর্যালোচনা করা হবে। তবে এসব পর্যালোচনার কারণে চুক্তির মেয়াদের কোনো পরিবর্তন হবে না।