নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমবি আবদুল্লাহ জাহাজের আটক নাবিক ও ক্রুদের জীবিত ফিরিয়ে আনার দাবিতে জড়ো হয়েছে নাবিকদের পরিবার। গতকাল সকাল থেকে নাবিকদের পরিবার-পরিজন কবির গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছে।
‘তারা মোবাইল ফোন নিয়ে নিচ্ছে। এখনও ইফতার করিনি। তারা খাবার দিলে ইফতার করব। কবির গ্রুপের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেভাবেই হোক আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় সর্বশেষ মোবাইল ফোনে মা জোছনা বেগমকে এই আকুতি জানান। এরপর গতকাল বুধবার পর্যন্ত ছেলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।
ছেলের চিন্তায় জোছনা বেগম গতকাল সকালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের কার্যালয়ে। চিন্তায়-উৎকণ্ঠায় থাকা এই মা বারবার আকুতি জানাচ্ছেনÑযেভাবেই হোক তার ছেলেকে যেন ফিরিয়ে আনা হয়। জোছনা বেগমের মতো একে একে জিম্মি জাহাজের নাবিকদের স্বজনরা কবির গ্রুপের কার্যালয়ে ছুটে আসেন। সেখানে কথা হয় কোনো নাবিকের স্ত্রী, ভাই, কিংবা স্বজনের সঙ্গে।
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এ বিষয়ে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, আমাদের সঙ্গে জাহাজ জিম্মিকারী জলদস্যুদের কথা হয়নি। তবে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি। আমাদের আগেও একটি জাহাজ আটকে ছিল। আমরা সবাইকে জীবিত উদ্ধার করছি। এখনও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সবাই জীবিত ফিরে আসবে, এটাই আমাদের চাওয়া।
