নাব্য সংকটে ফরিদপুর নদীবন্দর জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কা

মনিরুল ইসলাম টিটো, ফরিদপুর : নাব্য সংকটে পড়েছে ফরিদপুর নদীবন্দর। দুই মাসের বেশি সময় ধরে নাব্য সংকট চরমে পৌঁছানোয় যে কোনো সময় জাহাজ চলাচল বন্ধের শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যবসায়ীরা ছাড়াও হাজারো শ্রমিক শঙ্কার মধ্যে সময় পার করছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, মাসাধিক কাল ধরে দুটি ড্রেজার খননের উদ্দেশ্যে আনা হলেও একটি ড্রেজার এক দিনের জন্যের চালু করা হয়নি, অপরটি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। যদিও বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা বলছেন,

চরভদ্রাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সমন্বয় করতে না পারায় বন্ধ রয়েছে একটি ড্রেজার।

জানা যায়, পদ্মা নদীর ফরিদপুর সিঅ্যান্ডবি ঘাটকে ২০১৫ সালে নদীবন্দরে উন্নীত করার পর ২০১৭ সাল থেকে ইজারা কার্যক্রম শুরু হয় ফরিদপুর নদীবন্দরের। কিন্তু কাগজপত্রে বন্দরে উন্নীত করা হলেও কার্যত বন্দরের কোনো ধরনের উন্নয়ন কাজ হয়নি। এমনকি জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌরুটেরও কোনো কাজ করা হয়নি। এতে দুই মাস ধরে নাব্য সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এ রুটে চলাচলকারী জাহাজের নাবিকরা জানান, জাহাজ চলাচলে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির গভীরতা থাকার দরকার হলেও পদ্মা নদীর হাজীগঞ্জ থেকে ফরিদপুর নদীবন্দর পর্যন্ত ১০-১২ কিলোমিটার পানিপথে বর্তমানে পানির গভীরতা রয়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট। এতে বড় জাহাজ চলাচল করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

বন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, নাব্য সংকটের কারণে এরই মধ্যে চাল, গমসহ ভারী পণ্যবাহী হাজার চলাচল এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। পানি আরও শুকিয়ে গেলে সব ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

বন্দর সুবিধাভোগীদের দাবি, এদিকে নাব্য ফেরাতে মাসাধিক কাল ধরে দুই জাহাজ এ চ্যানেলে অবস্থান করলেও একটি ড্রেজার এক দিনের জন্যেও চালানো হয়নি, অপরটি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। খননকাজের এমন অনিয়ম দেখার কেউ নেই বলে দাবি তাদের। তারা মনে করেন, বন্দরটি বন্ধ হয়ে গেলে চরম ক্ষতিতে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বর্তমানে ট্রলারে মালামাল নেয়ায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ রহমান জানান, নাব্য সংকটের সমাধানের জন্য দুটি ড্রেজার পাঠানো হয়েছে। একটি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ চলছে, অন্যটি চরভদ্রাসনের হাজীগঞ্জ বাজারের পাশে রয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেশনে না থাকায় সমন্বয় করা সম্ভব হয়নি বলে ওই ড্রেজারটি দিয়ে খননকাজ শুরু করা হয়নি। নির্বাহী কর্মকর্তা এলে সমন্বয় করে চালু করা হবে।

যদিও চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০