নাভানা সিএনজির ঋণমান ‘এ প্লাস’ ও ‘এসটি-৩’

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি নাভানা সিএনজি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবদেন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৬২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৩৫ পয়সা। আর মোট মুনাফা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর দুই দশমিক ৫২ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৯ হাজার ১০টি শেয়ার মোট ৬৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছরে শেয়ারদর ৪০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৭৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৭ সালে ইপিএস হয়েছিল তিন টাকা তিন পয়সা আর শেয়ারপ্রতি এনএভি হয়েছিল ৩৩ টাকা ৬২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ১৮ পয়সা ও ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৭ সালে মোট মুনাফা করে ২০ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২৮ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ছয় কোটি ৮৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৯২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৭ দশমিক ৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৭ দশমিক ৮২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৮ দশমিক দুই। কোম্পানিটির চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০১৯) ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৮০ পয়সা। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস শেষে (জুলাই ২০১৮-মার্চ, ২০১৯) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল তিন টাকা এক পয়সা। তিন প্রান্তিক শেষে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ছয় টাকা ২৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৩ পয়সা। ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে এনএভি হয়েছে ৩৫ টাকা ৩৩ পয়সা, যা ২০১৮ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৫ টাকা ৩৫ পয়সা।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০