নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার বিষয়ে নামধারী পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এমনটি মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) কর্তৃপক্ষ। গতকাল এক বৈঠকে তারা এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।
সভায় ডিএসইর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ডিবিএর পরিচালনা পর্ষদ ও অ্যাডভাইজরি কমিটি অংশ নেয়।
তাদের যুক্তি, কোনো ধরনের অনুমোদন না লাগায় সহজেই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ফলে তারা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন। তাই কীভাবে এটা প্রতিহত করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিবিএ ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ। সভায় উপস্থিত থাকা ডিএসইর এক কর্মকর্তা জানান, সভায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে নামধারী শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ। যারা বাজার কখন উঠবে, কখন নামবে, কখন কত কোটি টাকার লেনদেন হবে ইত্যাদিসহ নানা বিষয়ে গুজব ছড়ায়।
এছাড়া সভায় বিএসইর চাঁদা সংগ্রহ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা যায়। পুঁজিবাজারের বর্তমান নেতিবাচক অবস্থায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বিএসইসির চাঁদা সংগ্রহ দ্বিমত পোষণ করেন ডিএসই ও ডিবিএর নেতারা। বিএসইসি সিডিবিএল থেকে দেড় কোটি, ডিএসই থেকে এক কোটি, সিএসই থেকে ৫০ লাখ, প্রতি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বার্ষিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা সংগ্রহ করবে; যা এ মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি বিএসইসির বিবেচনায় থাকা উচিত বলে একমত পোষণ করেন সংশ্লিষ্ট সবাই। আলোচনায় উঠে আসা বিষয়গুলো ডিবিএ প্রস্তাব আকারে বিএসইসিতে পাঠাবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।