নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন বিমা খাতে। ফলে শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল বিমা খাতে। আলোচ্য খাতটিতে এদিন সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে। এদিন সূচকের নামমাত্র উত্থানেও তিন খাতের শেয়ারে বিক্রির চাপ থাকায় আলোচ্য খাতে শেয়ারদর কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সিরামিক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্যাংক খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।
গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বাজারটিতে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১১ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৪২৩ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এদিন দাম বেড়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ারের, বিপরীতে কমেছে ৮৭টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৪টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬০ পয়েন্টে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭২১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৬টির, কমেছে ৫১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৬৯৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার ৫৮১ টাকার শেয়ার।