Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 3:20 pm

নামমাত্র উত্থানেও বিমার দাপট অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল মঙ্গলবার সূচকের নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে এদিন লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে নামমাত্র উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এতে একাধিক কার্যদিবসে দাপট অব্যাহত রেখেছে খাতটি। এদিন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ও শেয়ার বিক্রির চাপে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির

 শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪২টির দর বেড়েছে এবং ৮টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দর বৃদ্ধির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। খাতটিতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ১ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাত। এদিকে গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ওষুধ ও রসায়ন এবং আর্থিক খাতের শেয়ারদর কমা বা বৃদ্ধির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল সবচেয়ে বেশি দর কমেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতের। খাতটিতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। এদিন দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। এ খাতে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ দর কমেছে।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৬৮টির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৮৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৪ পয়েন্টে।

এদিন ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ৭৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৭ কোটি ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ক্রিস্টাল ইন্সু্যুরেন্সের শেয়ার।

এরপরের তালিকায় ছিল যথাক্রমে ইস্টার্ন হাউজিং, ইউনিট হোটেল, রয়েল টিউলিপ সিপার্ল বিচ, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, ইয়াকিন পলিমার, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।

আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ৫৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৩ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯২৭ টাকার শেয়ার।