নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন পুঁজিবাজারের প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনে তিন খাতে নামমাত্র উত্থান হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে ছিল সিরামিক খাতের শেয়ার। ফলে আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের শেয়ার। গতকাল আর্থিক খাত দর বৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় স্থানে ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আগ্রহ বেশি থাকা সিরামিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে এবং ১টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। গতকাল দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ১৫টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল তৃতীয় স্থানে থাকা আর্থিক খাতের শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। এ খাতে গতকাল লেনদেন হওয়া মোট ২৩ কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, টেলিকমিউনিকেশন, প্রকৌশলী এবং ব্যাংক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় আইটি খাতে শেয়ারদর সবচেয় বেশি কমেছে। খাতটিতে গতকাল শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে গতকাল মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকাল এ খাতের ৯টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে এবং ২টির অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ১ শতাংশ শেয়ারদর কমে; এরপরে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। গতকাল শেয়ারদর কমায় তৃতীয় স্থানে থাকা কাগজ ও মুদ্রণ খাতে দর কমেছে দশমিক ৮০ শতাংশ। গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর দশমিক ৮০ শতাংশ কমে চতুর্থ স্থানে ছিল।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া কাগজ খাত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। গতকাল চতুর্থ স্থানে থাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৮০ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ২৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস থেকে ৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার। গতকাল ডিএসইতে ৩১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৭টির বা ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশের, শেয়ারদর কমেছে ১৩৬টির বা ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশের এবং ১৬০টির বা ৫১ দশমিক ১২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৭৯ দশমিক ৫ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১২৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৩টির আর ৭৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল সিএসইতে ২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।