নামমাত্র উত্থানে ভ্রমণ খাত শীর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে নামমাত্র সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন সূচকের নামমাত্র উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এবং খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল আইটি খাতের শেয়ার। ট্যানারি ও জীবন বিমা খাত যথাক্রমে দর বৃদ্ধির তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে ছিল। অপরদিকে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ভ্রমণ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে এবং ৫টির দর কমেছে ও ১টি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। এ খাতে লেনদেন হওয়া ৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির শেয়ারদর বেড়েছে এবং ২টির শেয়ারদর কমেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্যাংক, প্রকোশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কাগজ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা সিরামিক খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সাধারণ বিমা এবং পাট খাত। চতুর্থ স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিবিধ খাতে। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৩৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ২০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৪ দশমিক ১৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪১টি এবং কমেছে ১২২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪৫টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২২টি, কমেছে ৫৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৪১টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪২৭ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০