নামমাত্র উত্থান লেনদেন আরও কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নামমাত্র উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৭টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, বস্ত্র, সিরামিক, ভ্রমণ ও অবকাশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ারদর কমে জীবন বিমা খাত ছিল তৃতীয় স্থানে।

লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশলী খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে।

এদিন ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে দাঁড়িয়েছে ৪১৩ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি ৭০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। এরপরের তালিকায় ছিল যথাক্রমে সোনালী পেপার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, জেমিনি ফুড, ইয়াকিন পলিমার, এসেকে স্টিমস, এমারেল্ড অয়েল এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেডের শেয়ার।

এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ৩৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০