প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত শাওনের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে তার নারায়ণগঞ্জের নবীনগর বাজারের বাড়িতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি সেখানে পৌঁছান। পরে শাওনের বাড়িতে গিয়ে তার মা ফরিদা বেগম ও দাদির সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সান্ত্বনা দেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুলের আগমনের খবরে বাড়ির আশেপাশে প্রচুর নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা শাওন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
এ সময় শাওনের পরিবার মির্জা ফখরুলকে জানায়, শাওন যুবদলের মিছিল-মিটিংয়ে নিয়মিত যেত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “শাওন যুবদলের রাজনীতি করতো এবং যুবদলের কর্মী ছিল সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। যদি সে রাজনীতি নাও করে তাও একজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে মেরে ফেলার কোনও অধিকার পুলিশের নেই। পুলিশ মিথ্যাচার করছে। পুলিশের গুলিতেই যে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, এটা প্রামণিত। শাওনকে হত্যার দায় তারা কোনওভাবেই অস্বীকার করতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। কোথাও দাঁড়াতে দিচ্ছে না বিএনপিকে। পাখির মতো সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলবো পাখির মতো মানুষ মারবেন না। আপনাদের দায়িত্ব জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া কাউকে এভাবে নির্বিচারে গুলি বা হত্যা করা নয়।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় শাওন নামে যুবদলের ওই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এরপর শাওনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে শাওনের মৃত্যু ছাড়াও পথচারী-নারীসহ আরও ২৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটায় পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।