Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 10:10 pm

নারীর ক্ষমতায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীর ক্ষমতায়নে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর এবং ‘ইন সার্চ অব জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০’, ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০’ ও ‘পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা’ প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার এবং একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২২ সাল একটি বিশেষ বছর। কারণ আমরা বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদ্যাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত, যেমন প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যেকোনো পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সব সেবা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া নারীরা, বিশেষত যারা মহামারির সময়ে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।’

জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যারা এই হƒদয়গ্রাহী, চিত্তাকর্ষক ও কষ্টকর গল্পগুলো আমাদের বলেছে, এই বইটি শুধু তাদের জন্য নয়।’ তিনি জানান, যারা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, নির্যাতিত ও এখনও দুঃসময়ে দিন যাপন করছে, বইটি তাদের সবার অবস্থার প্রতিফলন।

অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ও এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের বইটি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান। উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জিআইজেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামের হেড অব প্রোগ্রাম প্রমিতা সেনগুপ্ত ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন। আরও ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।