নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হোক

খোন্দকার মাহ্ফুজুল হক:‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর’। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এ চরণগুলো নারীর প্রাপ্য সম্মানের এক ঐতিহাসিক ঘোষণা। একে বাঙালি জাতির পথ নির্দেশনাও বলা যায়। সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষ সহিষ্ণু প্রাণীরূপে প্রাণী জগতে পরিচয় বহন করে চললেও কখনও কখনও তাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতাও পরিলক্ষিত হয়েছে। এ অসহিষ্ণুতা মানুষের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল; যার ফলে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পেয়ে সহিংসতায় রূপ নেয় এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করে। যে আক্রান্তের অন্যতম শিকার হয়েছিল নারী সমাজ।

কর্মসংস্থান, আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীর প্রতি এক ধরনের অসহিষ্ণুতা পূর্ব থেকে অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে। এটি মূলত মানুষের কুপ্রবৃত্তির প্রভাবেই জেগে উঠেছিল। কর্মসময়, ন্যায্য মজুরি, ভোটাধিকার, কর্মপরিবেশ ইত্যাদি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার অভাব দেখা দিয়েছিল। এ অবস্থা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিরাজমান ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি সুই তৈরির কারখানার নারী শ্রমিকরা এ অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতা ও আন্দোলনের পথপরিক্রমা অদ্যাবধি চলমান রয়েছে। মূলত এই আন্দোলনের সূচনার অন্যতম কারণ ছিল নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার অভাব। যার অভাবে পরবর্তী সময়ে জš§ নেয় নারীর প্রতি সহিংসতা।

নারীর প্রতি সহিংসতা হচ্ছে ওই সকল সহিংস অপরাধ, যেগুলো প্রধানত বা কেবলই নারী বা বালিকাদের ওপরেই করা হয়। এ ধরনের অপরাধের উদ্দেশ্য থাকে নারীকে সমাজে বা আন্তঃব্যক্তি সম্পর্কে অধীনস্থ করা। এছাড়া অধিকারপ্রাপ্তি বোধ, উচ্চস্থানের বোধ, নারী বিদ্বেষ বা নিজস্ব প্রকৃতির জন্য নারীর প্রতি সহিংস আচরণ করা হয়ে থাকে। জাতিসংঘের ‘ডেকলারেশন অন দ্য ডেকলারেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যান’-এ বলা হয়েছে, সহিংসতা হচ্ছে নারীর বিরুদ্ধে নারী ও পুরুষের মধ্যকার অসম ক্ষমতা সম্পর্কের প্রকাশ। এছাড়া নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতাকে অধীনস্থ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া প্রধান সামাজিক কৌশলগুলোর মধ্যে একটি বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যক্তি এবং রাষ্ট্র উভয়ের দ্বারাই সংঘটিত হয়ে থাকে। ধর্ষণ, গৃহ নির্যাতন, যৌন হয়রানি, প্রজননগত জোর-জবরদস্তি, কন্যাশিশু হত্যা, লিঙ্গভিত্তিক গর্ভপাত, প্রসবকালীন সহিংসতা, উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা সহিংসতা বা দাঙ্গা, রীতি বা আচরণগত চর্চা যেমন অনর কিলিং, যৌতুক বা পণ, নারী খতনা, অপহরণপূর্বক বা জোরপূর্বক বিবাহÑএ ধরনের সহিংসতাগুলো সাধারণত ব্যক্তি দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার অন্তর্ভুক্ত। রাষ্ট্র কর্তৃক সহিংসতার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধকালীন যৌন সহিংসতা, সংঘর্ষের সময় যৌন দাসত্ব, বাধ্যতামূলক নির্বীজান, জোরপূর্ব গর্ভপাত, পুলিশ বা কর্তৃত্বকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর দ্বারা সংঘটিত সহিংসতা ইত্যাদি। অপরাধচক্রের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার মধ্যে রয়েছেÑনারী পাচার, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি, সাইবার ক্রাইম, সাইবার বুলিং ইত্যাদি।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আলোকে বাংলাদেশের নারী সমাজও সহিষ্ণু পরিবেশের ক্ষেত্রে  খুব একটা এগিয়ে ছিল, তা কিন্তু বলা যাবে না। নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যে চিত্র অদ্যাবধি দেখা যায় তা হলো, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ৫৭ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ধর্ষণের সংখ্যা ৩৯৭ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণ ১১৫ জন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে, ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮৯ জনের সঙ্গে। এছাড়া অন্যান্য কারণে হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জন নারীকে, রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১১ জন, আত্মহত্যা করেছেন ২৬৭ জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ১২২ জন, যৌননিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ তথ্য উপস্থাপন করে। তারা ১২টি জাতীয় পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এ থেকেই আমাদের দেশে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার অনুপস্থিতি এবং সহিংসতার একটি চিত্র উঠে আসে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতিসংঘ কর্তৃক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ এবং ১৯৭৯ সালে নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদ গৃহীত হয়। ইউএন উইমেন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘কমব্যাটিং জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স (সিজিবিভি)’ রিসার্চ, মনিটরিং, ইমপ্যাক্ট, ইভ্যালুয়েশন ও ইনোভেটিভ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত পরিবেশ তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এর আওতায় কমিউনিটি মোবিলাইজেশন অ্যাপ্রোচ ‘সাসা! টুগেদার’ ও ‘সম্মান ও সমতার জীবন’ নামক সহিংসতা রোধী প্রতিরোধ মডেল প্রয়োগ করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১২টি দেশে ইউকে এইডের সহায়তায় ‘হোয়াট ওয়ার্কার্স টু প্রিভেন্টস ভায়োলেন্স এগেইনেস্ট উইমেন অ্যান্ড গার্লস’ শীর্ষক প্রোগ্রামের মাধ্যমেও নারীর প্রতি সহিংসতার হার কমিয়ে আনার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা তৈরি এবং সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ব্যক্তি, পরিবার, নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্র সবাইকে সমভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পারিবারিক পর্যায়ে সহিষ্ণুতার অনুশীলন করতে হবে। পুত্র ও কন্যার সমঅধিকার, সহনশীলতা ও নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সহিষ্ণুতার প্রাথমিক পাঠ ঘর থেকেই শুরু করা প্রয়োজন। সহিংসতামূলক কার্যক্রম যেমনÑযৌতুক, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, বৈষম্য ইত্যাদি থেকে পরিবারকে মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে শূন্যনীতি গ্রহণে পরিবারের সদস্যদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার ক্ষেত্র তৈরিতে সচেতন নাগরিক সমাজ এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন নাগরিক সমাজ সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের নিমিত্তে জোরালো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা পালন করা এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি। জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ, নারীবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে জেন্ডার সংবেদনশীল নীতি গ্রহণ, সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নির্যাতন বিষয়গুলো নিয়ে সামাজিকভাবে আন্দোলনকে বেগবান ও জোরালো করার পদক্ষেপ গ্রহণ নারীর প্রতি সহিষ্ণুতার সিম্বলরূপে তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যমকে নারী সহিষ্ণু গণমাধ্যমে পরিণত করার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা এখন একটি মুখ্য বিষয়। পরিবার, সমাজ, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও রাজনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা একটি স্থিতিশীল এবং স্মার্ট সোসাইটির সেøাগান হওয়া উচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২-এর সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৭৯ সালে গৃহীত নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ (সিডও) সনদের প্রতিটি অনুশাসনই বঙ্গবন্ধুর ১৯৭২-এর সংবিধানে বিদ্যমান। তার প্রতিষ্ঠিত নারী পুনর্বাসন বোর্ড ছিল এর অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত। বর্তমানে এটি মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা হিসেবে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকার নারীর প্রতি সহিষ্ণুতাকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করে বহুবিধ কর্মসূচি প্রণয়ন করছে। সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চারটি মন্ত্রণালয়ের জন্য নারী সহিষ্ণু জেন্ডার বাজেট চালু করে; যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান বাজেটের ৩৪.৩৭ শতাংশ এ খাতে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় নারীবান্ধব এবং নারী উপকারভোগী নীতিমালা অনুসরন ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য সরকারের  বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন-২০২০ প্রণয়ন করেছে। এসব আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, নারীর প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ রোধ করার পাশাপাশি নারীর প্রতি সহিষ্ণুতামূলক মনোভাব বৃদ্ধি করা।

আমাদের সংবিধানের ১৯, ২৭ , ২৮ এবং ২৯ অনুচ্ছেদে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি বন্ধে এবং জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকারের নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের কার্যক্রম অদ্যাবধি চলমান রয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে; ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ জাতীয় পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০)’, ১৫০টি স্বল্পমেয়াদি ১৫১টি মধ্যমেয়াদি এবং ৬১টি দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা, ৩৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অন্তর্ভুক্তকরণ, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ দায়িত্ব প্রদান, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটি গঠন ইত্যাদি।

এছাড়া কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার কল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের আওতায় ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল, ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি ও বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি, টোল ফ্রি হেল্প লাইন ১০৯, জয় অ্যাপস, ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টার ও রিজিওনাল কাউন্সিলিং সেন্টার, রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম (স্ক্রল, টিবিসি, কন্টেন্ট, লিফলেট, প্রকাশনা ইত্যাদি), ৬৪ জেলায় কমপ্লেইন্ট কমিটি, মহিলা সহায়তা কর্মসূচি, ছয়টি বিভাগীও শহরে ছয়টি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, কাউন্সিলিং সেবা প্রদান, কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন (দেশের ৪৫৫৩টি ইউনিয়ন ও ৩৩০টি পৌরসভায়), নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম, তিন বছর মেয়াদি মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনগুলোর (নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও বাৎসরিক অনুদান) সহায়তা প্রদান, লিগ্যাল এইড সেলের মাধ্যমে নির্যাতিত নারীকে আইনগত সহায়তা প্রদান, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকসহ আরও অন্যান্য কর্মসূচি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা করে যাচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নারীরা আজ রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্যসহ সচিব, বিচারক এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি স্ব স্ব ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হচ্ছেন। নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে রাষ্ট্র পরিচালনার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্লানেট ৫০-৫০, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড, শান্তি বৃক্ষ ও সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।

ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সমাবেশে অনলাইন বা অফলাইনে যে কোনো বিষয়ে নারীর প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে হবে। নারীদের নিয়ে নেতিবাচক প্রচার প্রোপাগান্ডা পরিহার করা প্রয়োজন। নারীর প্রতি সম্মানবোধ, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও সহিষ্ণুতামূলক আচরণ লালন করার লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

 

পিআইডি ফিচার

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০