ক্রীড়া প্রতিবেদক: স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্ত গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ। তারপরও সাফল্যটা মন্দ নয়। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো এমন অর্জনের তৃপ্তি নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ফিরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশে ফিরে কিছুটা দেরিতে হলেও অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছেন ওই ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উচ্ছ্বসিত। গতকাল মতিঝিলে বাফুফের সম্মেলনকক্ষে সাবিনা খাতুন ও তার দলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, ‘১০-১৫ দিনের মধ্যে আমি তোমাদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। সেখানে তোমাদের শুধুই আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে।’
খুশির খবর হলো, জাতীয় দলের মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সঙ্গে থেকে এ ফুটবলাররা ক্যাম্প করতে পারবেন। পাশাপাশি সাবিনা-স্বপ্নাদের জন্য থাকলো মাসিক বেতনের আশ্বাস। সালাউদ্দিন বলেন, ‘এখন জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই। এখন অনূর্ধ্ব-১৬ দল যেটা সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে তাদের সঙ্গে একই ক্যাম্পে সিনিয়র যারা সাফে খেলেছে তাদেরও থাকতে বলেছি। অনূর্ধ্ব-১৬ দল আগামী কয়েক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণ জাতীয় দল হিসেবে গড়ে উঠবে। তারাই একসময় খেলবে সাফে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভেবে একটা দল গড়তে চাই। আশা করছি, ২০১৮ সালে সাফ ট্রফি আমরাই জিতবো। তোমরা যারা সিনিয়র আছো তাদেরও আমি বেতনের আওতায় নিয়ে আসবো।’
সদ্য সমাপ্ত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ ও ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে উঠে যায় সেমিফাইনালে। তৃতীয়বারের শেষ চারে উঠে মালদ্বীপকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। কিন্তু ফাইনালে সেই ছন্দ থাকেনি। প্রথমার্ধ ১-১ গোলে ড্র থাকলেও পরে দল হেরে যায়। ৩-১ গোলের হারে ইতিহাস গড়া হয়নি তাদের।তকাল বাফুফে ভবনে সেই অনুষ্ঠানে কাজী সালাহউদ্দিন ছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
Add Comment