Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:56 am

নাশকতার যোগাযোগ সাংকেতিক ভাষায়, মোবাইল ঘেঁটে মিলেছে নানা তথ্য: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাসে আগুন দেয়া নাশকতাকারীরা সাংকেতিক ভাষায় হামলার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও স্থান নির্ধারণ করে। বাসে আগুন দেয়ার সময়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনটি ধাপে নাশকতার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিপ্লব কুমার বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। এই ১৪ জনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেকের মোবাইল ফোন ঘেঁটে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সাংকেতিক ভাষায় পেট্রল হলো কোক, অর্থাৎ পেট্রলের বোতলকে কোকের বোতল বলা হয়। সন্ধ্যার সময় দাওয়াত রইল।’

একসঙ্গে হয়ে নাশকতা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যে সাংকেতিক ভাষা ও শব্দ ব্যবহার করছে, এগুলো আমরা বুঝি। সাধারণ মানুষও বোঝে। আমরা তাদের ধরে ধরে নাশকতার উৎস পর্যায়ে অর্থাৎ কারা কারা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, নাশকতার প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত, বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। আমরা অতি দ্রুত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। সবগুলো হয় তো মিডিয়ায় আসছে না। তবে প্রতিদিনই কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন।’

নাশকতা দমনে ডিএমপি তার আইনগত সক্ষমতার মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তফসিল ঘোষণার পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আগারগাঁও এলাকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ ঢাকার প্রতিটি আঞ্চলিক কার্যালয়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন এলাকায় বেশ কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, ‘আগারগাঁওয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্র করে যত ধরনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রয়োজন, সবই আমরা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের যত ধরনের কার্যালয় রয়েছে সেগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

বিপ্লব কুমার আরও বলেন, ‘তারপরও রাজনৈতিক দলের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা নেই। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করবে। বর্তমান সরকার কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যদি বাস পোড়ানো, গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যদি অরাজকতা করার চেষ্টা করে, নগরবাসীর জীবনযাত্রা বিঘ্ন করার চেষ্টা এবং নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। বিন্দুমাত্র নাশকতা-অরাজকতা সহ্য করা হবে না।’