প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জায়গা নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে দুই পরিবারের সংঘর্ষে আকতার মিয়া নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মহিলা ও শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। নিহত আকতার মিয়া (৪০) উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের মৃত খুরশেদ আলীর ছেলে।
গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের পর নিহত আকতারের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে রোববার রাত ১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আহতদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের পরিবার, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুনিয়াউক গ্রামের দুলাল মিয়া ও আকতার মিয়া পরস্পর পরস্পরের চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে রোববার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যরা দা-লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পরিবারের মহিলা, শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আকতার মিয়া, দুলাল মিয়াসহ ১১ জনকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। রাত ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকতার মিয়া মারা যান।
এদিকে আকতারের মৃত্যুর সংবাদ চাউর হলে উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। এদিকে আকতারের মরদেহের ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় আকতার মিয়ার মরদেহ। এই ঘটনায় আকতারের পরিবারের পক্ষে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ময়নাতদন্তের পর আকতারের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।’