ক্রীড়া ডেস্ক: পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এ বছরের ২৯ জুন শুরু হতো উইম্বলডন। কিন্তু করোনার কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময় প্রথমবারের জন্য বাতিল হয়েছে টেনিসের জনপ্রিয় এ টুর্নামেন্টটি। তবে বছরের এ ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টের পুরস্কার মূল্যের ব্যাপারে এক মহৎ এবং মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এবারের উইম্বলডনের জন্য বরাদ্দ ছিল ১২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পুরস্কার মূল্য। কিন্তু কোর্টে বল না গড়ানোয় এ পুরস্কার জিততে পারেননি কোনো প্রতিযোগী। তবে তাদের হতাশ করছে না কর্তৃপক্ষ। ৬২০ জন প্রতিযোগীই ওই পুরস্কারের ভাগ পাবেন।
পুরস্কার মূল্য ক্যাটেগরি অনুযায়ী কীভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে সে কথাও ঘোষণা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। জানা গেছে, র?্যাংকিং অনুসারে যে ২৫৬ জন প্লেয়ারের মূলপর্বে অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তাদের প্রত্যেকে পাবেন ৩১ হাজার মার্কিন ডলার করে। পাশাপাশি যোগ্যতা অর্জন পর্বের মধ্য দিয়ে যে ২২৪ জন খেলোয়াড়কে যেতে হতো তাদের প্রত্যেকে পাবেন ১৫ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার করে আর্থিক পুরস্কার।
যে ১২০ জন খেলোয়াড়ের ডাবলসে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তারা ৭ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার করে আর্থিক পুরস্কার পাবেন। এছাড়া হুইলচেয়ার এবং কোয়াড হুইলচেয়ার প্রতিযোগীদের কাছেও পৌঁছে যাবে এই আর্থিক পুরস্কার। এ ব্যাপারে এক বিবৃতি জারি করা হয় অল ইংল্যান্ড ক্লাবের পক্ষ থেকে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড লুইস জানান, ‘টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আমরা প্রতিযোগীদের কথা ভাবতে শুরু করি, যাদের কারণে আমাদের এই টুর্নামেন্ট সফল হয়ে ওঠে। আমরা খুশি পুরস্কার মূল্য প্রতিযোগীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে পেরে। টুর্নামেন্টের বিমার কারণেই প্রতিযোগীদের হাতে এই আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।’
করোনার কারণে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডসøাম উইম্বলডন বাতিল হওয়ায় বেশ মন খারাপ হয়েছিল টেনিস তারকা খেলোয়াড়দের। তবে তাদের সুখবর দিয়েছে ইউএস ও ফ্রেঞ্চ ওপেন। করোনা আবহেই অনুষ্ঠিত হবে বছরের বাকি দুটি গ্র্যান্ডসøাম। সব গাইডলাইন মেনে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর ইউএস ওপেন অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বও থেকে ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ফ্রেঞ্চ ওপেন।