শেয়ার বিজ ডেস্ক: ওশেনিয়া মহাদেশের নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য শিগগির সীমান্ত খুলে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। কভিড-১৯ মহামারির কারণে দুই বছর ধরে দেশটিতে সীমান্তে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এবার সেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। খবর: বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষ নাগাদ চালু হতে পারে সীমান্ত। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় রয়েছে তার মধ্যে। তাই তিনি বলেন, যদিও এখনও পর্যাপ্ত তথ্য নেই যে, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পর্যটকরা আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে আসতে পারবেন। এ বিষয়ে আজ দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক রয়েছে। এতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা আসতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কভিড-১৯ মহামারির কারণে ধসে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন খাত। এ খাত আবার চাঙা হবে সীমান্ত চালু হলে। দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারির আগে দেশটির এ খাত থেকে বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। এই খাতে জড়িত রয়েছেন দেশটির পাঁচ শতাংশ মানুষ। মহামারির কারণে ২০২০ সালে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর বিদেশ থেকে নিজেদের কিছু নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দেয়নি দেশটি। বের হতে পারেননি দেশটির নাগরিকরাও। এ সময়ের মধ্যে যারা অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। পরে ধীরে ধীরে শর্ত শিথিল করা হলেও বন্ধই থাকে পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার।
একই অবস্থা ছিল নিউজিল্যান্ডেও। সম্প্রতি দেশটির সরকার তাদের সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা জানায়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে ফিরতে পারছেন অস্ট্রেলিয়ায় আটকে পড়া নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা। পর্যায়ক্রমে বিদেশি শিক্ষার্থীসহ পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের দরজা।