শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ করে দেয়া হয় নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত। দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে দেশটি। এখন থেকে ভিসা রয়েছে এমন ভ্রমণকারী ও শিক্ষার্থীদের আবার দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেবে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। খবর: বিবিসি।
দেশের বাইরে থেকে প্রবেশে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বন্ধ রাখে নিউজিল্যান্ড। এতে বিদেশি ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি নিজ দেশের নাগরিকরাও বাইরে যেতে পারেননি। কভিড সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে, তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম। এছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে বিশ্বের সফল দেশগুলোর মধ্যেও নিউজিল্যান্ড শীর্ষে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এই সিদ্ধান্তকে ‘বিশাল মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি ‘সতর্ক প্রক্রিয়ার’ অংশ। বেশিরভাগ পর্যটককে এখনও টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে হবে। তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার দরকার পড়বে না। গতকাল সোমবার অকল্যান্ডে ‘চায়না বিজনেস সামিট’-এ জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি বাকি বিশ্বের সঙ্গে আমরা একটি খুবই সক্রিয় বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলা করে চলেছি। কিন্তু মানুষকে নিরাপদ রাখার মধ্যে তাদের আয় ও কল্যাণের বিষয়টিও পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, ভাইরাসটি আসার আগে জীবন ছিল। পরেও জীবন থাকবে। আমরা গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে ঠিকভাবেই আছি। তবে আমরা এখনই কড়াকড়ি অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে আসছি না।
নিউজিল্যান্ডের সামুদ্রিক সীমানাও আবার খুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে প্রমোদতরী ও বিদেশি ইয়টগুলোও এখন বন্দরে নোঙর করতে পারবে। ধাপে ধাপে সীমান্ত খুলে দেয়ার পরিকল্পনার প্রথম ঘোষণাটি আসে গত ফেব্রুয়ারিতে। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে টিকা নেয়া নাগরিকদের ওই মাসে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়। যারা অন্য কোনো দেশ থেকে আসতে চেয়েছিলেন, তাদের মার্চে ফেরার সুযোগ দেয়া হয়। ভিসামুক্ত ভ্রমণ তালিকায় থাকা ৫০টি দেশের পর্যটকদের মে মাসে দেশটিতে স্বাগত জানাতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড।