নিউজিল্যান্ডে ভুমিকম্প, নিরাপদে বাংলাদেশ দল

ক্রীড়া ডেস্ক: ২০১৯ সালে সন্ত্রাসী হামলায় কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ না করেই ফিরেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেনি টিম টাইগার্স। এরমধ্যেই ফের নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে তামিম ইকবালের দল। কিন্তু আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল সফরকারীদের নিয়ে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর নিউজিল্যান্ডে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। তবে এক ভিডিও বার্তায় বিসিবির পরিচালক, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দলনেতা জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, মুশফিকুর রহিমরা নিরাপদেই আছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ২৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ৪ মার্চ ৯টা ২৭ মিনিটে) নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির নর্থ আইল্যান্ডের জিসবোর্নে প্রথমে ৭.৩ তিন মাত্রার ভূমিকম্পের পর আবার ৮.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে। আরেকটি ভূমিকম্প হয় ৭.২ মাত্রার। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থান। টাইগাররা এখন রয়েছে ক্রাইস্টচার্চে। সেখান থেকে জিসবোর্নের দূরত্ব প্রায় ৯০০ কিলোমিটার। ফলে ভূমিকম্প সেভাবে টের পাননি ক্রিকেটাররা।

সুনামি সতর্কতায় উপকূলীয় এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে বলেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে মার্কিন ভূ-পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছিল, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭ দশমিক ৩। পরে অবশ্য জানানো হয়, তীব্রতা ৭ দশমিক ২। ভূমিকম্পের উৎস ছিল অকল্যান্ড থেকে ৪১৪ কিলোমিটার পূর্বে। সাময়িকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (নেমা) বলছে, নর্থ আইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি জনবহুল শহর গিসবোর্ন। এতে সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস।

ভুমিকম্প নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস,‘আজ (শুক্রবার) স্থানীয় সময় রাত ২টা ২৭ মিনিটে নর্দান আইল্যান্ডের ইস্ট কোস্টের দিকে ক্রাইস্টচার্চ থেকে ২৫০০ কিলোমিটার দূরে ভুমিকম্প হয়েছে,তাও আবার সমুদ্রের গভীরে। সুনামি হওয়ার আশংকা ছিল উত্তর অঞ্চলের কিছু কোস্টাল এরিয়ায়।ওই উত্তর অঞ্চলের কোস্টাল এরিয়ায় তা সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা যারা ক্রাইস্টচার্চে আছি, নিউজিল্যান্ডের অন্য জায়গায় আমাদের উপর তার প্রভাব পড়েনি। আলহামদুলিল্লাহ ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশ দল নিরাপদে আছে। সুনামির কোন প্রভাব পড়েনি।রুটিন ছিল, তা চালিয়ে যাচ্ছি।আজ ছেলেরা ৪টা দল করে প্র্যাকটিস করেছে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছে। তআদের থেকে কোন সতর্ক সংকেত পাইনি। তারা বলেছে চিন্তার কোনো কারণ নেই।প্র্যাকটিসের রুটিনেই এগিয়েছে। সিডিউল মোতাবেক আমরা কাজ চালিয়ে নিব।’

আগামী ২০ মার্চ ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ ও ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে কিউইদের বিপক্ষে বাকি দুই ওয়ানডে খেলবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দল। এদিকে কিউইদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা। আগামী ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল হবে ম্যাচগুলো।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০