নিউজিল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে পার্লামেন্টের বাইরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড়ো হন। খবর: এবিসি নিউজ।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে পার্লামেন্টের সামনে বেষ্টনী দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রচুর পুলিশ পার্লামেন্ট ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন।

প্রায় ছয় মাস আগে এ বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছিলেন। গত মার্চে কভিড টিকা গ্রহণের বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এতে রাজধানীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে জনজীবনে বিঘœ ঘটে। পুলিশ ওই সময় জোর করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

‘ফ্রিডম অ্যান্ড রাইটস কোয়ালিশন’ চলমান বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানী ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনের মাঠে জড়ো হয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভেতরে আইনপ্রণেতারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে স্বাধীনতার দাবিতে লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। অনেকে কভিড-১৯ বিধিনিষেধ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলার দাবি করেন।

কৃষকদের জন্য কঠোর পরিবেশগত বিধিবিধান মেনে চলা ও আঞ্চলিক মালিকানাধীন জলাধারগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে নিউজিল্যান্ড সরকারের উদ্যোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন অনেকে।

কারমেন পেজ নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা কারও নিয়ন্ত্রণাধীন থাকতে চাই না, আমরা শুধু স্বাধীনভাবে আমাদের জীবনযাপন করতে চাই। হ্যামিলটন শহর থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে আসা ড্যানি হানিফ বলেন, আমাদের সরকার আসলে আমাদের জন্য কাজ করছে না।

এদিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরোধিতা করে প্রায় ২৫০ জনের একটি দল পার্লামেন্টের সামনে উপস্থিত হন। ফেসবুকে এক পোস্টে তারা লেখেন, ঘৃণা, হোমোফোবিয়া, গোঁড়ামি ও চরম ডানপন্থিদের যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তা আটকানোই তাদের লক্ষ্য।

পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে গত সোমবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্লামেন্ট শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে স্বাগত জানিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, এটি চলুক। তবে তিনি মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০