নিওকভ সম্পর্কে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ওমিক্রনের পর কভিডের নতুন ধরন নিওকভ। এর সন্ধান পেয়েছেন কভিডের আঁতুড়ঘর উহান শহরের গবেষকরা। তাদের দাবি এই নিওকভ আগের সব স্ট্রেনের থেকে বিপজ্জনক ও সংক্রামক। এ বিষয়ে এবার মুখ খুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর: রয়টার্স

নিওকভ নিয়ে কোনো গাইডলাইন দিতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বলেছে, নিওকভ নামের এই ধরনটি মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে হলে এই ভাইরাসটি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। তবে এরপরই উদ্বেগ বাড়িয়ে সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে ভবিষ্যতে এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ালে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ মানুষের শরীরে আসা ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগই আসে কোনো না কোনো পশু থেকে। করোনাভাইরাসও বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে দেখা গেছে।

নিওকভ নতুন ভাইরাস নয়। এটা মিডল-ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ভাইরাসের (মার্স) সঙ্গে যুক্ত। প্রথম পাওয়া যায় সৌদি আরবে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। এটি সাধারণত মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় না। মূলত পশুপাখির শরীরে এর সংক্রমণ দেখা যেত। প্রথমে এই ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু বায়োক্সিভ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উহানের গবেষকরা দাবি করেছেন, এই নিওকভ ও পিডিএল-২১৮০-কভ মানুষের শরীরেও সংক্রমণ শুরু করেছে। বাদুড় থেকে উটের শরীর হয়ে ভাইরাসটি মানুষের শরীরের সংক্রমিত হচ্ছে।

উহান বিশ্ববিদ্যালয় ও চায়নিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকদের দাবি, আর মাত্র একবার মিউটেশন হলেই এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভাইরাসে মৃত্যুহার ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজন সংক্রমিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, নিওকভ নিয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা এক্ষেত্রেও হয়। যদিও জিনোম সিক্যুয়েন্স না করা পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না সংস্থাটি। নিওকভ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য উহানের বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০