শেয়ার বিজ ডেস্ক : দেউলিয়া হওয়া অস্ট্রিয়ার নিকি এয়ারলাইনস কিনতে যাচ্ছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিকানাধীন আইএজি। এজন্য কোম্পানিটিকে ২০ মিলিয়ন ইউরো বা ২৪ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে আইএজি। কোম্পানি দুটির মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। খবর এএফপি।
নিকি এর আগে এয়ার বার্লিনের মালিকানাধীন ছিল। কিন্তু সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার ইতিহাদ এয়ারওয়েজ অর্থ তুলে নেওয়ায় গত আগস্টে প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর সংস্থাটি ফ্লাইট স্থগিতের মাধ্যমে কার্যক্রম বন্ধ করে।
চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি জার্মানির ক্যারিয়ার লুফথানসা নিকিকে ক্রয়ের পরিকল্পনা করেছিল। নিকির এক হাজার কর্মীর মধ্যে ৭৪০ জন নতুন চুক্তির আওতায় আইএজির অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আইএজির প্রধান নির্বাহী উইলি ওয়ালস বলেন, ‘নতুন এ চুক্তির আওতায় অস্ট্রিয়া, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে আমাদের উপস্থিতি বাড়বে। এতে এ অঞ্চলের যাত্রীরা কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।’
নতুন চুক্তির আওতায় নিকির ১৫টি উড়োজাহাজের মালিকানা পাবে আইএজি। এসব ফ্লাইট ভিয়েনা, মিউনিখ, জুরিখসহ ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার রুটে যাতায়াত করে।
উল্লেখ্য, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ তাদের ফান্ডিং তুলে নেওয়ার পর জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন এয়ার বার্লিনকে পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য দেউলিয়া সুরক্ষার পথ ধরতে হয়।
সহজ কথায়, এয়ার বার্লিনের কাছে আর প্রতিদিনের কাজ চালানোর মতো নগদ অর্থ ছিল না। সরকারি সাহায্য পাওয়া সত্ত্বেও ইতিহাদের ফান্ডিং এয়ার বার্লিনের কাছে অপরিহার্য ছিল।
গত দুবছরে এয়ার বার্লিন ১২০ কোটি ইউরো লোকসান দেখিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে মাত্র দুই প্রান্তিক ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কখনও লাভের মুখ দেখেনি। গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারহোল্ডার ইতিহাদের তরফ থেকে নগদ বিনিয়োগের ওপর নির্ভর থেকেছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এয়ার বার্লিন একটি বড় আকারের কাঠামো বদল পরিকল্পনা কার্যকর করে। ওই সময় এয়ার বার্লিনের ৩৮টি উড়োজাহাজ, বিমানকর্মীসহ, লুফথানসাকে ভাড়া দেওয়া হয়। এছাড়া এয়ার বার্লিনের প্রায় এক হাজার ২০০ কর্মী ছাঁটাই করা হয়, যা সংস্থাটির মোট কর্মীসংখ্যার প্রায় এক-সপ্তমাংশ।