শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে সাউথ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালিই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি হ্যালি। এর আগে ২০২৪ সালে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিকি হ্যালি প্রথম রিপাবলিকান যিনি একই দলের হয়ে তার সাবেক নিয়োগকর্তা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। খবর: ইকোনমিস্ট।
অনেক আগে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ায় আটঘাট বেঁধে প্রচারণার মাঠে নামছেন নিকি হ্যালি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তার প্রার্থিতা ঘোষণার কারণে রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বেরিয়ে আসতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন। কেননা তার প্রতিযোগীর পাল্লা আরও ভারী হচ্ছে। সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও উভয়ই প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন। যদিও এখনও ঘোষণা আসেনি। সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তার ‘ব্লুপ্রিন্ট ফর আমেরিকা’স রিভাইভ্যাল’ প্রকাশ করবেন।
সর্বশেষ ইউগভ কিংবা ইয়াহুর জরিপ দেখা যায়, ৫ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার তাকে দলের মনোনয়নের জন্য সমর্থন করছে। ট্রাম্প এবং ডিস্যান্টিস যথাক্রমে ৩৭ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ ভোট নিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, ডিস্যান্টিস অন্তত নিজের সাফল্যের গল্প বলা থেকে উপকৃত হবেন। কেননা তার অধীনে ফ্লোরিডা ফুলেফেঁপে উঠছে। তিনি একজন প্রমাণিত ভোট জয়ী নেতাও বলা চলে।
একটি জনাকীর্ণ মাঠ ট্রাম্পের জন্য উপযুক্ত যেটি তাকে ২০১৬ সালে তার দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছিল। সে সময় সন্দেহ নেই কেন তিনি বলেছিলেন, হ্যালির ‘অবশ্যই দৌড়ানো উচিত।’
নিকি হ্যালি ট্রাম্পের সঙ্গে মেলামেশা করে বিব্রত হয়েছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে হঠাৎই দায়িত্ব ছেড়ে দেন নিকি হ্যালি। ভারতীয় অভিবাসী কন্যা ট্রাম্পের বিদেশিদের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং নারীদের প্রতি অসম্মান ইস্যুও তুলে ধরেন বিভিন্ন সময়ে। অক্টোবরে প্রকাশিত তার নিজের বইতে, হ্যালি নিজেকে ব্রিটেনের ঠাণ্ডা যুদ্ধের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন।