ক্রীড়া ডেস্ক: বয়স ৩৩। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে দেখে সেটা বোঝায় উপায় নেই। বুঝতেও চান না সিআর সেভেন। বরং নিজেকে এখনও পর্তুগিজ এ ফরোয়ার্ড চির তরুণই মনে করেন। এমনটাই নিজেই জানিয়েছেন সদ্যই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসে পাড়ি দিয়ে।
গত পরশু মেডিক্যাল টেস্টের জন্য প্রথমবার জুভেন্টাসে পা রাখেন রোনালদো। সমর্থকদের সঙ্গে পরিচিতি পর্বে ৩৩ বছর বয়সী এ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বলেন, ‘নিজেকে তরুণ মনে করি দেখেই ইতালিতে আসলাম।’
১১ কোটি ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে আগামী ৪ বছরের জন্য রোনালদো জুভেন্টাসে চুক্তি করেছেন। তার আগে দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্ক ভেঙে গত পরশু সিআর সেভেন যোগ দেন জুভেন্টাসে। সেখানে আসার পর তাকে বরণ করে নেয় সমর্থকরা। সংবাদ সম্মেলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার জানান তার তুরিনে আসার কারণ। ‘আমি বর্তমান নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি। আমি এখনও অনেক তরুণ এবং সবসময় চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি- স্পোটিং থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইউনাইটেড থেকে রিয়াল এবং রিয়াল থেকে এখন জুভেন্টাসে।’
জুভেন্টাসে আল্লেগ্রির মতো বিশ্বমানের কোচ রয়েছে। তাই রিয়াল ছেড়ে তুরিনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে মোটেও বেশি চিন্তা করতে হয়নি রোনালদোর। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুভেন্টাসে আসা একটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। এটা ইতালির সেরা ক্লাব। দুর্দান্ত একজন কোচ (মাসিসমিলিয়ানো আল্লেগ্রি) আছেন তাই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন ছিল না। আমি খুবই উচ্চাভিলাষী এবং নতুন চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি। আমি আশা করি সবকিছু ভালোভাবে চলবে। ভাগ্য সবসময় সাহায্য করে কিন্তু আপনাকেও এটার খোঁজে থাকতে হবে।’
অন্য যে কোনো ফুটবলারের চেয়ে আলাদা রোনালদো। এটা আগেও বেশ কয়েকবারই বলেছেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া নিয়েও একই কথা বলেছেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা এ ফরোয়ার্ড। ‘সাধারণত ৩৩ বছর বয়সে খেলোয়াড়রা মনে করে তাদের ক্যারিয়ার শেষ, কিন্তু আমি সেভাবে অনুভব করি না। আমি দেখিয়েছি, আমি অন্যদের চেয়ে আলাদা। জুভেন্টাস একটি বড় ক্লাব এবং সাধারণত আমার বয়সে খেলোয়াড়রা কাতার বা চীনে পাড়ি জমায়। তাই এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় ক্লাবে ক্যারিয়ারের এ সময়ে আসতে পেরে আমি খুশি।’