ক্রীড়া প্রতিবেদক: পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন আরাফাত সানি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার বলেছেন, ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেননি। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোনো ধরনের আপত্তিকর কোনো ছবিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাননি তিনি। যদিও পুলিশ বলেছে, এ নিয়ে এখনই কিছুই বলবে না তারা। তদন্ত শেষ হলেই আসল ঘটনা জানাবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া গতকাল সংবাদমাধ্যমকে এ নিয়ে বলেছেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় কথার গুরুত্ব কম। মোহাম্মদপুর থানায় আরাফাত সানিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার বাদী ওই নারীর মোবাইল ফোনসেট আলামত হিসেবে জব্দ করেছি আমরা। সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছে। মোবাইলে কে ছবি পাঠিয়েছে, কীভাবে পাঠিয়েছেÑসব জানা যাবে।’
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি সানির বিরুদ্ধে নাসরিন সুলতানা নামের ২৩ বছর বয়সী তরুণী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। এরপরই শুরু হয় পুলিশের গোপন তদন্ত। জানা যায়, সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া গেছে বলেই গ্রেফতার হয়েছেন তারকাখ্যাতি পাওয়া এই ক্রিকেটার। পুলিশের কাছে করা ওই তরুণীর অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে ‘সাত বছর পূর্বে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের ঘনিষ্ঠতা হয়। এক পর্যায়ে আমরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে গত ৪-১২-২০১৪ সালে উভয়ের অভিভাবককে অবহিত না করে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হই।’
সে অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বিয়ের পর থেকেই বউ হিসেবে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন নাসরিন। কিন্তু সানি স্ত্রীকে ঘরে না তুলে উল্টো ব্ল্যাকমেইল করেন। এ কারণেই মামলার পথে হেঁটেছেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার সকাল ৮টার দিকে আমিনবাজারের বাসা থেকে পুলিশ আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। ওইদিনই পুলিশ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে গতকাল আরাফাত সানির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে আরও একটি মামলা করেছেন নাসরিন সুলতানা। ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালতে যৌতুক আইনের মামলাটি করা হয়। যেখানে জাতীয় দলের এই স্পিনারের মাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়েছেন আদালত।
Add Comment