শোবিজ ডেস্ক: অভিনেত্রী-পরিচালক অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আশা করছেন তার পরিচালিত ছবি ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ কম্বোডিয়াবাসীদের ভালো লাগবে এবং এ ছবির জন্য তারা গর্ববোধ করবে। কম্বোডিয়াবাসী যে ধরনের ঘৃণা ও অসন্তোষ নিয়ে সত্তর দশক কাটিয়েছে, সে অনুভূতি থেকে তারা এবার বেরিয়ে আসবে।
খেমার রুজ কমিউনিস্ট পার্টির শাসনকালে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল কম্বোডিয়ায়, এ ছবি সে ঘটনার প্রতি আলোকপাত করবে—এমন তথ্যই জানিয়েছে বিবিসি।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, ‘আমি আশা করছি আমার এ ছবি কোনো ঘৃণার জন্ম দেবে না। কারও ওপর কোনো দোষ কেউ চাপিয়ে দেবে না। কম্বোডিয়ার মানুষ এ ছবি দেখলে নিজেরাই গর্ববোধ করবে; কারণ তারা দেখতে পাবে ঠিক কী ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি তারা পেরিয়ে এসেছে।’
কম্বোডিয়ার হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট ও জুলির বন্ধু লুং আং-এর লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস হলো ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’। সত্তর দশকে কম্বোডিয়ায় পল পট রেজিমে ছোটবেলা থেকেই আক্রান্ত লুং আং-এর পরিবার। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে লুকিয়ে বেড়াতে হয়েছিল তাদের। অন্য বোনেরা কখন যে ছিটকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল জানতে পারেনি সে। এভাবে দিনের পর দিন কেটেছে। আর খবর এসেছে কত কত লোক রোজ মারা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মূল কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে ভিয়েতনামিদের সহায়তায় কম্বোডিয়ায় যখন থিতু অবস্থা ফিরে আসছে, তখন লুং আং খুঁজে পাচ্ছেন তার হারানো এক বোনকে।
Add Comment