নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গ্রস ৩৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে, যা থাকে সেটিই হচ্ছে নিট রিজার্ভের পরিমাণ।
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফসহ বিভিন্ন তহবিলে সরবরাহ করা প্রায় সাড়ে আট বিলিয়ন ডলারকেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসেবে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক হিসাব পদ্ধতির সঙ্গে যা সংগতিপূর্ণ নয় বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করতে গত বছর থেকে বলে আসছে সংস্থাটি। তবুও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেদের মতো করেই হিসাব করছে। তবে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ মিশনের বৈঠকে রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পর তাদের পদ্ধতি মানাতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর গতকাল তা স্পষ্ট করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আইএমএফ বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ গ্রসে নয়, নিটে দেখাতে বলেছে। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) সরবরাহ করা সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনে (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখানো হচ্ছে, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে নিট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন। গতকাল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গ্রস ৩৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।