শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার নিত্যপণ্য বাজারে গত সপ্তাহের মতোই মাছ, মাংস ও চালের বাজারমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন সুপারশপে মূল্য কিছুটা কম দেখা গেছে। খবর নিউজ বাংলাদেশ।
বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বাজারে মাছ ও মাংস গত সপ্তাহের দামেই একই পর্যায়ে স্থিতিশীল আছে। তবে বেড়েছে চালের দাম। পাইকারি, খুচরা ও ট্রেডিং করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, বেশিরভাগ চালের দামই কেজিতে এক থেকে দুই টাকা করে বেড়েছে।
পাইকারি বাজারে স্বর্ণা (মোটা চাল) দাম এক থেকে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। মিনিকেট ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। নাজির শাইল পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা, খুচরা বাজারে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা। পারিজা পাইজাম ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা পাইকারি বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ৪২ থেকে ৪৬ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ শতাংশ।
এছাড়া মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৩০, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০, মাঝারি রুই ১৮০ থেকে ২২০ এবং বড় আকারের রুই ২৮০ থেকে ৩০০, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পরিবর্তন আসেনি মাংসের বাজারে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৫০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ বাজারেই ৪৮০ টাকা দামে এ মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ এবং ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আর সুপারশপগুলোয় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৪৭৫ টাকায়। প্রতিকেজি মুরগি ২১০, রোস্টের মুরগি ১১০, পেঁয়াজ ১৬, প্রতি পিস ডিম ৬ টাকা ৬০ পয়সা, গলদা চিংড়ি ৪৮০ এবং পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ৯২ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ে বিক্রি করছে অনেক সুপারশপ।
তরকারির বাজারে প্রতিকেজি আলু ২০, শিম ৪০, পটোল ৬০ থেকে ৮০, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০, বেগুন ৪০ থেকে ৫০, উস্তা ৪০ থেকে ৫০, করলা ৫০ থেকে ৬০, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০, আর আমদানি করা রসুন মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা দামে।
আর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। যার মূল্য গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
দোকানিরা জানান, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কোনো সবজিরই দাম বৃদ্ধি পায়নি। এমনকি কাঁচামরিচেরও নয়।
পাইকারি বাজারে প্রতি পাঁচ কেজি (এক পাল্লা) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ হিসেবে প্রতি কেজির দাম হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা।
Add Comment