নিজস্ব প্রতিবেদক:কভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিন্ম আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ সরবরাহ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হবে নারীদের মাঝে। তিন বছর মেয়াদি এ তহবিলের পরিমাণ প্রয়োজন হলে আরও বাড়াবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব প্রলম্বিত হওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিন্ম আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উত্তরণ ও তাদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এমএফআই সদস্যভুক্ত একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা দিতে পারবে। আর গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবে। তবে তফসিলি ব্যাংকের সরাসরি নির্বাচিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই স্কিম থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যাবে। আর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট যৌথ প্রকল্পে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যাবে।
ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া এক বছরের মধ্যে ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে। আর ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে টাকা ফেরত দেয়ার সময়সীমা দুই থেকে তিন বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই স্কিম থেকে যারা ঋণ নেবেন, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে তারা তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। উদ্যোক্তা পর্যায়ের এই ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এক্ষেত্রে স্টাম্প, এসএমএস চার্জ ও সরকারি আবগারি শুল্ক ব্যতীত অন্য কোনো চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না।
নতুন এ স্কিমের নাম দেয়া হয়েছে ‘নিন্ম আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিলের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা, তবে প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে। স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।