নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মিত হচ্ছে কালভার্ট

প্রতিনিধি, গাংনী (মেহেরপুর): মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মুন্দা খালের ওপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে। কাজের কাছে উপস্থিত থেকে নানা অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন বিএডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন প্রকৌশলী। ফলে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট নির্মাণে মানুষের দুঃখ ঘোচানোর বদলে অভিশাপ নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানালেন স্থানীয়রা।

সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, মুন্দা গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে মাঠ থেকে খালটি প্রবেশ করে স্টুয়াট খালে গিয়ে মিশেছে; যা এই মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি খাল। বামন্দীর দিক থেকে মুন্দা গ্রামের প্রবেশের কাছাকাটি এই খালের ওপরে নির্মাণ হচ্ছে একটি বক্স কালভার্ট। মুজিবনগর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করছেন তেরাইল গ্রামের রাহিদ বিশ্বাস।

৩০ জুলাই কালভার্টের বেজ ঢালাই কাজ চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি ক্ষুদ্র সেচের গাংনী অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন। বেজ ঢালাইয়ে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির রড। এর মধ্যে কোনটি ভালো আর কোনটি নিম্নমানের তার হদিস মেলেনি। এদিকে যে পাথর ভাঙা দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে তার মধ্যে একটি বড় অংশ মরা ও দুর্বল পাথর। তাছাড়া বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণে নানা ত্রুটি দিয়েই ঢালাই কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এ ধরনের পাথরের সঙ্গে ঢালাই কাজে মোটা বালু ব্যবহারের শর্ত থাকলেও এখানে তা মানা হচ্ছে না। নামকাওয়াস্তে কিছু মোটা বালু কাজের পাশে রাখা হয়েছে। আর ঢালাই হচ্ছে স্থানীয় চিকন বালু দিয়ে।

বিষয়টি জানতে চাইলে কাজের কাছে উপস্থিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বলেন, শিডিউলে যা আছে তাই দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে শিডিউল দেখতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে রয়েছে। আপনি দাঁড়িয়ে থেকে কীভাবে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে বলেন, কাজ ঠিকঠাকভাবে চলছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০