শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় দ্বিতীয় দিনের মতো নিম্নমুখী ছিল বিশ্ব পুঁজিবাজার। সম্প্রতি ট্রাম্প চীনের ওপর আরও ২০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। এতে গত ৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এর প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে। খবর রয়টার্স।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পুঁজিাবাজারের অন্যতম সূচক ডাও জোনস দশমিক ৫৩ শতাংশ পড়ে যায়। এছাড়া অন্য দুই প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক সূচক পড়ে যথাক্রমে দশমিক ৪৪ শতাংশ ও দশমিক ২৬ শতাংশ। এদিন ইউরোপের বাজারের মধ্যে লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক দশমিক ৩৭ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স সূচক দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ফ্রান্সের সিএসসি সূচক কমেছে এক দশমিক শূন্য আট শতাংশ। এ অঞ্চলের অন্য বাজারগুলোও ছিল নি¤œমুখী ধারায়।
গতকাল শুক্রবার এশিয়ার পুঁজিবাজারও বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পড়তে থাকে। এ দিনে জাপানের নিক্কেই সূচক কমেছে দশমিক দুই শতাংশ, হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক কমেছে দশমিক ৯৮ শতাংশ, চীনের সাংহাই সূচক কমেছে দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ভারতের সেনসেক্স সূচক কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ।
গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্ল–মবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিবেন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে। এর আগে এ পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্কারোপের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা আবারও বাড়ালেও তারাও পাল্টা জবাব দেবে।
গত জুলাইয়ে তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্কারোপ কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্র। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে শুল্ক ধার্য করে। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আরও কয়েক হাজার চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপ করার প্রক্রিয়া চলছে।
নিম্নমুখী বিশ্ব পুঁজিবাজার
