অনেকে হাতের কাছে ফল পেলেই খেয়ে থাকেন। তাদের কাছে ফল খাওয়ার কোনো নিয়মানুবর্তিতা নেই। আবার অনেকে নিয়ম ও সময় মেনে তবেই ফল খান। এ দুই শ্রেণির মানুষের অভ্যাসের মধ্যে কোনটা যে সঠিক, তা জানা নেই। তবে গবেষকদের মতে, নির্দিষ্ট সময়ে ফল খাওয়া উচিত।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল মানেই প্রচুর পরিমাণের প্রাকৃতিক ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও আঁশ। তাই প্লেটের অর্ধেকটা যদি ফল আর অর্ধেকটা সবজিতে ভরা থাকে, তাহলে পেট ভরে যাবে। এ সময় ভরা পেটে না খালি পেটে ফল খেলেন, সে চিন্তা আর থাকে না। এছাড়া খাওয়ার আধঘণ্টা আগে যদি কয়েক টুকরো ফল খেয়ে নেওয়া যায়, তাহলে বেশি খাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। মুক্তি পাবেন ওবেসিটি থেকেও। তবে যেসব ফলে শর্করা বা চিনির মাত্রা বেশি, যেমন আঙ্গুর, সফেদা, চেরি প্রভৃতি অন্য খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সব সময়ই ফল ও খাবার খাওয়ার মধ্যে কমপক্ষে আধঘণ্টা বিরতি থাকা উচিত। না হলে খাবার বা ফল কোনোটাই ঠিকমতো হজম হবে না। কারণ ফল নিজেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবার।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস পানি পান করলে মানবদেহ দূষণমুক্ত হয়। হজমক্ষমতাও বাড়ে। আরও বেশি পুষ্টি পাবেন আপনি। সকালে সাইট্রাস ফল, যেমন কমলা, বাতাবিলেবু, আনারস প্রভৃতি না খাওয়াই উত্তম। সাধারণত, নাস্তা ও লাঞ্চের খাওয়ার মাঝামাঝি সময়ে ফল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বিকাল বা সন্ধ্যায় স্ন্যাকস হিসেবেও ফল বেছে নিতে পারেন। অর্থাৎ সন্ধ্যার পর ফল খেতে পারেন।
খাওয়ার আগে কয়েক টুকরো ফল খেলে পাকস্থলী পর্যাপ্ত আঁশ পায়, যা অন্য খাবার হজমে সহায়তা করে। আবার পেটও ভর্তি রাখে। আপেল, নাসপাতি, কলা প্রভৃতি ফলে অধিক পরিমাণে আঁশ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, ডিনারের পরে ফল না খাওয়াই ভালো। কারণ ফলের মধ্যে থাকা চিনি শরীরে বাড়তি এনার্জি জোগায়, ফলে কমে যায় ঘুমের পরিমাণ। ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে ফল খেতে পারেন।