বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত বৈষম্য দূরীকরণ ও কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালায় ১২ দফা অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্মকর্তারা। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় ড. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে মো. শহীদুল্লাহর সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান চঞ্চল বলেন, ইউজিসি কর্তৃক গোপনীয়ভাবে কর্মকর্তাদের ন্যায্য অধিকার খর্ব করার যে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা প্রকাশ করার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের জানাতে চাই। তার প্রতিবাদে আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমি ওই সব শিক্ষকদের ধিক্কার জানাই যারা আমাদের লেবার মনে করে, আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই আমরাও আপনাদের থেকে কোনো অংশে কম নয়। যদি তাই না হয় তাহলে কেন আপনারা আমাদের কর্মস্থল দখল করতে আসেন?
দর্শন বিভাগের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, আজকে আমাদের অফিসে বসে শিক্ষার্থীদের সেবা দেয়ার পরিবর্তে রাস্তায় অবস্থান করছি। ইউজিসির এ কালো থাবার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে। এর মতো লজ্জা আর কী হতে পারে? ইউজিসি একটি আমব্রেলা নামক কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের ৫২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নীতিমালায় আনতে চাচ্ছে। আমরা গোপন সূত্রে শুনেছি তারা আমাদের দুটো প্রমোশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায় যেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট বিরোধী।
অডিট সেলের কর্মকর্তা মাসুম আল রশিদ বলেন, অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করছে ১২ দফা দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের চাওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন বাস্তবায়ন হবে না? যারা সেকশন অফিসার হিসেবে যোগদান করবে শুধু তাদেরই পদোন্নতি হবে এটি কেমন নীতিমালা। প্রাইমারিতে চাকরিরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চাকরি করেও সেই সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেন এত বৈষম্যের শিকার হতে হবে? আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, প্রশাসন ভবন থেকে আসা প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।